অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচন। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে নগরীর মোট ১৯০টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এ ভোটগ্রহণ। তবে সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেয় নগরবাসী।
এদিকে ইভিএম নিয়ে নির্বাচনের আগে ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিতে পেরে পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি খুশি নারী ভোটাররাও। অনেক কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনও দেখা গেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৭৪৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ভোট পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় তদারকি করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইভিএমে প্রথমবার ভোট দেওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে ৩৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার মোছা. সাবিকুন্নাহার বলেন, ইভিএমে প্রথমবার ভোট দিব বলে অনেক উচ্ছ্বসিত ছিলাম, আবার কিছুটা শঙ্কায়ও ছিলাম যে কোনো ঝামেলা হয় কিনা ভোট দিতে গিয়ে। তবে কোনো ধরনের ঝামেলা বা জটিলতা ছাড়াই ভোট দিতে পেরেছি। ভোট দিতে সময়ও কম লেগেছে।
৩৮ নং ওয়ার্ডের ভোটার সাদিকুর রহমান বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে একটু শঙ্কায় ছিলাম যে ভোট দিতে পারবো কিনা। পোলিং অফিসারদের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে খুব সহজেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিতে পেরেছি। কাগজে সিল ছাড়া প্রথমবার ভোট এটা আমাদের। ভালো লাগছে অনেক।
জানা যায়, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন। পঞ্চমবারের মতো এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এর আগে সিলেট সিটিতে মোট ২৭টি ওয়ার্ড থাকলেও আয়তন বাড়ায় এবার আরও নতুন ১৫টি ওয়ার্ড সংযুক্ত হয়। বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে সিটি কর্পোরেশনটিতে এখন মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন ও কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭২ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে মোট ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Leave a Reply